Thursday, April 8, 2021

অক্সফোর্ড অস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিন নিলে জমে যাচ্ছে রক্ত! ৩০ এর নিচে টিকা নিতে নিষেধাজ্ঞা


বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রক্ত জমাট বাঁধার বিরল লক্ষণ দেখা দেওয়ার কারণে ৩০ বছরের কম বয়সীদের অ্যাস্ট্রাজেনেকারটি বাদ রেখে অন্য টিকা নিতে বলছে যুক্তরাজ্যের টিকাদান কর্তৃপক্ষ ।

এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) জানায়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার বিরল লক্ষণের একটি সম্পর্ক রয়েছে।

বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে এই খবরটিও এসেছে গুরুত্বের সঙ্গে।

ব্রিটিশ-সুইডিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রয়োগ চলছে। শুধু ইউরোপের দেশগুলোতেই আড়াই কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

তথ্য বিশ্লেষণ করে ইএমএ দেখেছে, মার্চ নাগাদ কোভিশিল্ড টিকা নেওয়া ৭৯ জনের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ দেখা গেছে। এর মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আর এই ঘটনা নারীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা গেছে। আর মৃতদের তিনজনের বয়স ৩০ বছরের নিচে।

সংস্থাটি বলছে, টিকাই এই রক্ত জমাট বাঁধার কারণ কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে এই টিকার সঙ্গে যে তার একটি সম্পর্ক রয়েছে, সেই ভাবনাটি আরও দৃঢ় হল।

তবে বিরল এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও মহামারীর ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে টিকাটির গুরুত্ব এখনও কম নয় বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ প্যানেলকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলেছে, রক্ত জমাট বাঁধা সম্ভাব্য একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তবে তা এখনও নিশ্চিত হয়। আর যেখানে সারাবিশ্বে ২০ কোটি মানুষ ইতোমধ্যে এই টিকা নিয়েছে, সেখানে নগন্য সংখ্যকের বেলায়ি বিরল এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

Monday, September 3, 2018

ব্রাজিলে জাতীয় যাদুঘরে অগ্নিকান্ড, পুড়ে ছাই আমেরিকার প্রাকৃতিক ইতিহাস সমন্নিত যাদুঘর


ব্রাজিলে জাতীয় যাদুঘরে অগ্নিকান্ড, পুড়ে ছাই  আমেরিকার প্রাকৃতিক ইতিহাস সমন্নিত যাদুঘর

ব্রাজিলে জাতীয় যাদুঘরে ঐতিহাসিক ভয়াবহ একটি অগ্নিকান্ড ঘটে গেল। আমেরিকার প্রাকৃতিক ইতিহাস সমন্নিত ও পৃথিবীর বৃহত্তম জাদুঘরগুলির মধ্য়ে অন্য়তম এই রিও ডি জেনেরিওর যাদুঘরটি।
বিপুল সংখ্য়ক অগ্নিনির্বাপক ও যাদুঘর কর্মীরা এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ধ্বংসের ভেতরে তাদের উদ্ধারকার্য চালালেও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে গোটা যাদুঘরটাই! কিভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা অবশ্য় এখন জানা যায়নি।
ব্রাজিলের প্রাচীন গ্রিক- রোমান শিল্প, মিশরের শিল্প এবং আদিম যুগের বহু জীবাশ্মের নমুনা এই যাদুঘরটিতে মজুত ছিল। ১৮০৮ সালে নেপোলিয়ন পর্তুগাল আক্রমন করলে পর্তুগালের রাজ পরিবার তাদের কোর্টকে এই রাজকীয় ভবনটিতে স্থানান্তর করে। ১৮১৮ সালে এখানে যাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় থেকেই গবেষকেরা যাদুঘরটির উন্নয়নের লক্ষে প্রচুর সামগ্রী সংগ্রহ করে তা জন সাধারণের সামনে তুলে ধরতে সদাই সচেষ্ট থেকেছেন। ফলে সংগ্রহশালাটি দিনে দিনে পৃথিবীর অন্য়তম একটি যাদুঘর হিসেবে স্থান পায়।

 ব্রাজিলের বৃহত্তম উল্কাপিন্ড, ডাইনোসরের হাড় এবং আমেরিকার ১২ হাজার বছর বয়সী লুইসিয়া নামের একটি কঙ্কাল যা আমেরিকার সবচেয়ে প্রাচীনতম আবিষ্কার। ১৫০০ খ্রীষ্টাব্দে পর্তুগীজদের আগমনের সময়কাল থেকে ১৮৮৯ সালের প্রজাতন্ত্র ঘোষনার সময়কাল পর্যন্ত নানা মূল্য়বান জিনিসে এই ভবনটি ভরে ছিল। এথোলোজি সংগ্রহের আদিবাসী সংস্কৃতির প্রাক কলম্বিয়ান যুগের শিল্পকর্মগুলির সহচার্যে অই যাদুভবনটি মহিমাম্বিত হয়ে ছিল সভ্য়তার কাছে। আজ তা ধ্বংসের ইতিহাসে কালিমা লিপ্ত। 

Saturday, August 25, 2018

হিতাচি সিসাইড পার্ক জাপানের প্রাকৃতিক সম্পদ Hitachi Seaside Park, Flower...

হিতাচি সিসাইড পার্ক হিতাচিনাকা, ইবারাকি, জাপান আয়তন - ১৯০ হেক্টর সারা বছরে মরশুমি ফুলের জন্য় এই পার্কটি বিশ্ব বিখ্য়াত পার্কের অন্তর্গত মিহারাশি নামের পাহাড়ি অঞ্চলটি (৩.৫ হেক্টর) পর্যটকদের শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ। বসন্তকালে এখানে প্রাকৃতিকভাবে নীল রঙের ফুলের চাদেরে ঢেকে যায় প্রান্তর। আকাশের নীলের সঙ্গে মাটিতে উজ্জ্বল নিমোফিলা বা বেবি ব্লু আইস নামের ছোটছোট নীল ফুলের মিলন ঘটে। প্রতি বছর সংখ্য়ায় প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ফুল ফোটে। শরৎকালে মিহারাশি পাহাড়ের প্রান্তর ভরে যায় লাল ও সবুজাভ রঙের কোচিয়া বল গাছে এবং কসমসের নানান রঙের ফুলে। সারা বছর হিতাচি সিসাইড পার্কের ১৯০ হেক্টর জমিতে নার্সিসাস, টিউলিপ, গোলাপ, কসমস, ড্য়াফোডিল ইত্য়াদির বিভিন্ন প্রজাতি ও রঙের ফুলের আশ্চর্য সমাবেশ দেখা যায়। ফুল ফোটার সময় অনুযায়ী পার্কটিতে বাৎসরিক ক্য়ালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে।

Tuesday, August 21, 2018

গাড়োয়াল হিমালয়ের প্রাচীন গ্রাম ওসলা OSLA ANCIENT HIMALAYAN VILLAGE UT...

গাড়োয়াল হিমালয়ের প্রাচীন গ্রাম ওসলা। হিমালয়ের পথে হার কি দুন যাওয়ার পথেই এই গ্রাম। উচ্চতা ১০,৮৫৩ ফিট। এই গ্রামে একটি কাঠের কারুকার্য করা শিব জির মন্দির আছে। অনেকে এই মন্দিরটিকে দুর্যোধনের মন্দির বলে মনে করেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা কিন্তু ওসলার এই মন্দিরটিকে শিবের মন্দির বলেই আখ্য়া দেন। শীতে বরফের সময়ে এই শিব বিগ্রহকে নীচের কোনও গ্রামে নামিয়ে আনা হয়। দেরাদুন থেকে এই গ্রাম প্রায় ২৪০ কিমি দুরে অবস্থান করছে। গ্রামের উত্তর পশ্চিম দিকে যে পথ চলে যাচ্ছে সেদিকে হিমালয়ের হারকিদুন। বিখ্য়াত ঝুলন্ত উপত্য়কা। ওসলা থেকে উত্তরে হিমালয়ের বরফআবৃত পর্বত শিখর চোখে পড়ে। এই গ্রামে থাকার মনোরম ব্য়বস্থা আছে।

Sunday, August 19, 2018

কম্বোডিয়ার আঙ্কোর ওয়াট মন্দির পৃথিবীর আশ্চর্য স্থাপত্য়কলা।

প্রাচীনকালে হিন্দু রাজারা দক্ষিনপূর্ব এশিয়ার সুদুর কম্বোজ রাজ্য়ে তাদের রাজ্য়স্থাপন করেছিল। আনুমানিক ৬ শতক থেকে বারো শতক সময়কালের মধ্য়ে এই অঞ্চলে হিন্দু রাজাদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি বিস্তর বেরে গিয়েছিল। ফলে তাঁদের সাম্রাজ্য়ের অন্তবর্তী ও দুরবর্তী আক্রমনকারী শত্রুও গেছিল বেড়ে। কম্বোডিয়ায় যে হিন্দু রাজারা রাজত্ব করতেন তারা হলেন খেমর রাজবংশীয়। রাজা সূর্য বর্মন খেমর রাজবংশের অন্য়তম ব্য়ক্তিত্য়। তিনি আনুমানিক ১২০০ খ্রীষ্টাব্দে স্বধর্মের পৃষ্ঠপোষনার্থে অধুনা কম্বোডিয়ার আঙ্কোর-এ বিশ্ব বিখ্য়াত হিন্দু দেবতা ভগবান বিষ্ণুর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। একই সঙ্গে তিনি আঙ্কোরে নিজের রাজধানী স্থাপনা করেন। এই আঙ্কোর শহরটি ছিল একটি সমৃদ্ধ মন্দির নগরী। প্রাচীনকালে কম্বোজ সাম্রাজ্য়ের পাথর খোদাইয়ের শিল্পীদের যে সারা পৃথিবীতে খ্য়াতি ছিল তা নিসন্দেহেই অনুমান করা যায় এই মন্দিরের শিল্পকলা দেখে। হিন্দুপূরানে দেবতাদের আবাস স্থল মেরু পর্বতের বিবরণ অনুযায়ী এই মন্দিরটি তৈরী হয়েছিল ৪০০ বর্গ কিলোমিটার স্থান জুড়ে। পুরো মন্দিরটি ঘিরে ৬৫০ ফুটের একটি পরীখা খনন করা আছে। এই পরীখাটি পার হওয়ার জন্য় ৩৬ ফুট দৈর্ঘের একটি সেতু তৈরি করা আছে। সেতুটি পার হয়ে ১৫৬০ ফুট রাস্তা চলে যাচ্ছে সোজা মন্দিরের দিকে। সেখানে আঙ্কোর ওয়াট মন্দিরের নীচের ও প্রথম গ্য়ালারী। এই গ্য়ালারী হল ঘর মাফিক বারান্দা। এইখানে দেওয়াল জুড়ে পৃথিবী বিখ্য়াত খেমর শিল্পকলা পাথরে খোদাই করে আঁকা আছে। এর ওপরে আরও দুটি গ্য়ালারী রয়েছে। তারও ওপরে অধিষ্ঠান করছেন ভগবান বিষ্ণুর প্রস্তর বিগ্রহ। এটিই মন্দিরের সর্বোচ্চ চুড়া, দৈর্ঘ্য় ২১০ ফুট। এই মূল মন্দরটিই একমাত্র পশ্চিমমূখী। গ্য়ালারী গুলোতে মূলত মহাভারতের দৃশ্য়গুলো খোদাই করা আছে।এছাড়াও বহু হিন্দু দেবদেবীর মুর্তিও এখানে খোদিত আছে। খেমর রাজবংশের চীরকালীন শত্রু ছিল চাম-এরা। এই চামেদের আক্রমণেই কম্বোজে হিন্দু সাম্রাজ্য়ের ধ্বংস সাধিত হয়েছিল। মহারাজা দ্বিতীয় সূর্য বর্মনের মৃত্য়ূর প্রায় ২৭ বছর পর আনুমানিক ১১৭৭ সালে চামেদের আক্রমণে সাম্রাজ্য়ের ধনসম্পদ লুন্ঠিত হয়। এরপর থেকে ভগ্ন পোড়ো ও ভৌতিক হয়ে এই মন্দির নগরীটি পড়ে ছিল। এখানে ধনসম্পদের লোভে ঘন জঙ্গলের মধ্য়ে পা বাড়াত দুর্ধর্ষ ডাকাতের দল। ত্রয়োদশ শতাব্দির শেষের দিক থেকে জঙ্গল পরিষ্কার করে এই মন্দিরটিকে বৌদ্ধরা তাদের পোড়ো জীর্ণ মঠ হিসেবে ব্য়বহার করতে থাকেন। এখনও পর্যন্ত আঙ্কোরভাটে ভগবান বিষ্ণুর বিগ্রহকেও একই সঙ্গে বৌদ্ধরীতিতেই পূজা করা হয়।

রূপকথার সেরা শিল্পী অরি রুশোর ১০ রহস্য়ময় চিত্রকলা 10 MYSTICAL PAINTINGS ...

রূপকথার সেরা শিল্পী অরি রুশোর ১০ রহস্য়ময় ছবি 10 MYSTICAL PAINTINGS BY ARTIST HENRI ROUSSEAU ফরাসী পোস্ট ইম্প্রেশনিস্ট চিত্রকর হেনরি রুশোর চিত্রশিল্পে প্রভাবিত হয়েছিলেন পিকাসো, লেজার, হুগো, বেকম্য়ান মেটজিঙ্গার। পেশায় ট্য়াক্স কালেক্টার, রুশো তাঁর ৪০ বছর বয়সের পর ছবি আঁকায় মনোনিবেশ করেন। ৪৯ বছর বয়সে অবসর নিয়ে সম্পূর্ণভাবে ছবিতে আত্মনিয়োগ করেন। রূপকথাধর্মী ও রহস্য়ময় ছবির জন্য়ই তিনি বিশেষভাবে বিখ্য়াত হন।

অক্সফোর্ড অস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিন নিলে জমে যাচ্ছে রক্ত! ৩০ এর নিচে টিকা নিতে নিষেধাজ্ঞা

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার দূরান্বয়ী সম্পর্ক হলেও রয়েছে- বিশেষজ্ঞদের এমন বক্তব্য আসার পর যুক্তরাজ্যে ...